উন্নত জীবনের নেশায় ভয়ংকর এক যাত্রায় জড়াচ্ছেন হাজারো বাংলাদেশী। তাদের অনেকেরই লক্ষ্য ইউরোপের গ্রীস-ইতালি। সাগরপথে মানব পাচারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে লিবিয়ার একটি পাচারকারী চক্র রীতিমতো মৃত্যুযাত্রায় ঠেলে দিচ্ছে এসব বাংলাদেশীদের। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ২ হাজার ৮ শ’রও বেশি বাংলাদেশী ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে পৌছেছেন ইতালিতে। তারা ঢাকা থেকে তুরস্ক জর্ডান, মিশর হয়ে তিউনেশিয়ায় যান। এরপর পৌছান লিবিয়ায়।
তুষার, পাহাড়, মরুভুমি পাড়ি দিয়ে মাসের পর মাস হেটে, কয়েক সপ্তাহ নৌকায় ভেসে পৌছাচ্ছেন ইতালি সীমান্তে । কেউ কেউ বাংলাদেশ থেকে মাল্টা তারপর সেখান থেকে জাহাজে করে যাচ্ছেন ইতালি। এসব সীমান্তে অভিবাসীদের উপর সীমান্তরক্ষীরা লেলিয়ে দেয় হিংস্র কুকুর। চালানো হয় গুলি। কখনো কখনো দেখা যায় যাত্রা শুরু করেছিলো ২০ জনের একটি দল। পথে মারা গেছে ১৫ জন। গন্তব্যে পৌছাতে পেরেছে মাত্র ৫ জন।
এভাবে দুর্গম পথে ইতালিতে যেতে রওনা হয়ে প্রতি বছর শত শত বাংলাদেশী মারা যাচ্ছেন বলে বৃটিশ দৈনিক ইনডিপেডেন্ট এ রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, ৭ মে। আই ও এম এর পরিসংখ্যান উল্লেখ করে তাতে বলা হয়েছে, সাগরপথে লিবিয়া থেকে ইতালিতে পাচার হওয়া মানুষের মধ্যে এখন বাংলাদেশীরাই শীর্ষে ।
এই ভয়ংকর যাত্রায় বাংলাদেশীদের অনেকেই খরচ করছেন ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা । কিন্ত ইতালিতে পৌছে তাদের কাজ নেই। থাকার জায়গা নেই। কোথাওবা তাদের আটক করছে পুলিশ। অনেকেই জিম্মি হচ্ছেন মানব পাচারকারীদের হাতে। তারপরেও দলে দলে যাচ্ছেন, বাংলাদেশীরা ওই ভয়ংকর যাত্রায় ।