সাধারণ এক মেয়ের ডুবুরি হয়ে ওঠার কঠিন এক গল্প। গ্রামের অনেকের মতো মেয়েটিরও বিয়ে হয় অল্প বয়সেই। একসময় বিয়েটাও ভেঙে গেল। তত দিনে তাঁর কোলজুড়ে এসেছে মেয়ে জেরিন। মেয়েকে নিয়ে শুরু হলো নতুন সংগ্রাম। সেই সংগ্রামে জিতেছেন মুসলিমা আক্তার। এখন তিনি স্কুবা ডাইভার। দরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে মুসলিমা এখন অনেককে নিয়ে যান সমুদ্রের অতল জলে। দেখিয়ে দেন সমুদ্রের জলতলে থাকা প্রকৃতির অসাধারণ সৌন্দর্য। অস্ট্রেলিয়ায় ডুবুরিদের প্রশিক্ষণও দেন তিনি। মুসলিমা এখন লাইসেন্সধারী ‘মাস্টার স্কুবা ডাইভার ট্রেইনার’। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জন্ম মুসলিমা আক্তারের। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পরিচিত এক বড় ভাইয়ের সহায়তায় ২০০৫ সালে খাদ্য ও পানীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান। ভারত থেকে পাড়ি জমান মালদ্বীপে। এই মালদ্বীপের সাগরই তাঁকে প্রথম টানে। হঠাৎ করে সাগরের তলদেশ দেখার আগ্রহ ইচ্ছা জাগে মুসলিমার মনে। ডুবুরি হওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে থাকেন। ছয় মাসে তিনটা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করেন। হয়ে যান ‘পেডি মাস্টার স্কুবা ডাইভার’। এরপর আর তাঁকে থেমে থাকতে হয়নি। মুসলিমা আক্তার এখন পাডি নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে ডাইভিং প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। মেয়েও থাকে তাঁর। থাকেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নসে। প্রতিকূলতাকে জয় করে স্বপ্নকে ছুয়েছেন মুসলিমাহ।