মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা পরিবারের শিশু একের পর এক হারিয়ে যাচ্ছে। যার কোন হদিসই পাচ্ছেন না অবিভাবকরা। স্থানীয় মানবপাচারকারী চক্র গোপন কৌশলে ওইসব শিশুদের চুরি করে বিক্রি করছে বলে, অভিযোগ উঠেছে। আর চুরি করে নেয়া শিশুদের দিয়ে করানো হচ্ছে ভিাবৃত্তিসহ নানা অমানবিক কাজ। ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদদাতা জন ওয়েনস সম্প্রতি কক্সবাজার ঘুরে এ ধরনের রিপোর্ট তৈরি করেছেন।
এ ধরনের ঘটনাকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বড় দুঃশ্চিন্তার বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে ভয়েস অব আমেরিকার রিপোর্টে । রশিদা নামের এক রোহিঙ্গা নারীর ১০ বছরের ছেলে মুহাম্মদ সম্প্রতি গুম হয়েছে। তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। স্মামীকে মেরে ফেলার পর গেলো বছর ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে রশিদা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর কয়েকদিন পরই মোহাম্মদ নিখোঁজ হয়।
গত বছর মিয়ানমারের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার ৭০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। যাদের অনেকেই আশ্রয় নেন কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরগুলোতে। সেখানে কাজ করছে এ্যাকশন এগেইষ্ট হাঙ্গার নামের একটি সংগঠন জানিয়েছে, শরনার্থী শিবির ও আশেপাশে এ পর্যন্ত ১৬টি অপহরণ বা গুমের ঘটনা তাদের জানা আছে। ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইবছর মোট ৪৯ জন অপহৃত শিশুকে উদ্ধার করা হয়। যার ১৫ জনকে কক্সবাজার থেকে অপহরন করা হয়েছিলে।
স্থানীয় পুলিশ ও গণমাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কক্সবাজারে প্রায় ২ হাজার সদস্যের মানবপাচারকারী চক্র রয়েছে। যারা পাচার বা চুরি করে নেয়া শিশুদের নানা অমানবিক কাজে লাগায়। তাদের অঙ্গ প্রত্য বিক্রির মতো ভয়াবহ বানিজ্যও হয়। তাদের পঙ্গু বা বিকলাঙ্গ করে ভিে করানোর মতো ঘটনাও ঘটছে