মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডানে পোশাক শিল্প ঘিরে ব্যপক কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশীদের। বর্তমানে দেশটির পোশাক শিল্পে কাজ করছেন প্রায় ২৪ হাজার বাংলাদেশী কর্মী। যা জর্ডানের পোশাক শিল্পে কর্মরত মোট প্রবাসী শ্রমিকের উনপঞ্চাশ শতাংশ। দেশে বিপুল সংখ্যক গার্মেন্টস কারখানা থাকার পরও বাড়তি এবং নিয়মিত মজুরির কারণেই মূলত জর্ডানের পোশাক শিল্পকে বেছে নিচ্ছেন বাংলাদেশী এ শ্রমিকরা। শুধু জর্ডান নয়, কম্বোডিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতেও এখন জায়গা করে নিচ্ছেন, তারা। জর্ডানের পোশাক শিল্পে গত কয়েক বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। দেশটির ওপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া অভিবাসী শ্রমিকদের আবাসন সুবিধা বাড়িয়েছে জর্ডানের শ্রম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ পরিপ্রেেিত বেটারওয়ার্ক কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রম অধিকার নিশ্চিতের কার্যক্রম জোরদার করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও। বর্তমানে জর্ডানের মোট রফতানিতে পোশাক শিল্পের অবদান ১৯ শতাংশ। খাতটি থেকে জর্ডানের বছরে আয় হয় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কারখানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— অ্যাপারেল কনসেপ্টস, বিজনেস ফেইথ গার্মেন্টস, ক্যাসিক ফ্যাশন অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি, ইএএম মালিবান টেক্সটাইল, গ্যালাক্সি অ্যাপারেল, হাইফা অ্যাপারেল, আইভরি গার্মেন্টস ও জেরাস গার্মেন্টস অ্যান্ড ফ্যাশন। অন্য অনেকের তুলনায় রাষ্ট্র হিসেবে জর্ডান শান্ত। এছাড়া শ্রমিক অধিকার, দরকষাকষি ও শ্রমের মূল্য সব দিক বিবেচনায় প্রাপ্তি ভালো হওয়ার কারণেই দেশটির প্রতি বাংলাদেশী পোশাক শ্রমিকদের আগ্রহ বাড়ছে বলে মনে করছেন, সংশ্লিষ্টরা।