বাংলাদেশের পাসপোর্ট আইন সংশোধন হচ্ছে। এতে ১২টি কারনে দেশের যে কোনো নাগরিককে পাসপোর্ট প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে সরকার বা পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে
কেউ যদি রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকেন বা তার প্রমাণ পাওয়া যায়
মানবতা বিরোধী বা যুদ্ধপরাধে কেউ যদি দন্ডপ্রাপ্ত হন
মামলা দায়েরের পর কোর্টে উপস্থিতি এড়াতে কেউ যদি বিদেশ যেতে চান
আন্তর্জাতিক কোন সন্ত্রাসী চক্রের সাথে জড়িত থাকলে
মানবপাচার বা মুদ্রা পাচারের সাথে জড়িত থাকলে
দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকলে
গোয়েন্দা রিপোর্টে সন্দেহজনক ব্যক্তি হলে
এতো দিন বিষয়টি অলিখিত থাকলেও পুরনো আইন সংশোধন করে এ সংক্রান্ত পাসপোর্ট আইন-২০১৬ এর খসড়া তৈরি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যা এখন বিবেচনাধীন আছে আইন মন্ত্রণালয়ে।
প্রস্তাবিত এই নতুন আইনে পাসপোর্টে কোন ভুল তথ্য দিলে আদালত কর্তৃক পাসপোর্ট প্রত্যাহার বা আটক করার মতা দেয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে। এছাড়া কোন ফৌজদারী আদালত কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দেয়ার শর্ত হিসেবে তার পাসপোর্ট সাময়িক ভাবে আটক করতে পারবে।
চলতি বছরই এই আইনটি পাস হতে পারে এমন আভাসও দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।