আগামী ১৭ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাদে বসতে যাচ্ছে পঞ্চম এশিয়ান ইনডো গেমস ও মার্শাল আর্ট-২০১৭। এর আগে দেশ, গেমসের ভেন্যু কতটা প্রস্তুত তা সারা বিশ্বকে জানাতে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানায় তুর্কমেনিস্তান সরকার। যার নাম দেয়া হয়েছিলো ওয়ার্ল্ড প্রেস মিডিয়া ফোরাম। একই সঙ্গে একশ দিনের কাউন্ট ডাউন’র অনুষ্ঠানও করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস প্রেস-এআইপিএস’র অন্তর্ভুক্ত সদস্য প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এই সুযোগ পায় বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি’র সদস্য হিসেবে তুর্কমেনিস্তান যাত্রা করে প্রতিবেদক মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন।
কয়েক দিনের প্রস্তুতিতে মনের মাঝে অজানাকে জানার নতুন এক আকাঙ্খা নিয়ে এগিয়ে চলে প্রতিবেদক। নতুন একটি দেশ ভ্রমণ এবং ঐ দেশের জাতি, জাতীয়তাবোধ এবং সংস্কৃতি নিজ চোখে দেখার অজানা আগ্রহ ভর করে প্রতিবেদকের স্বত্তায়।
আগে থেকে কিছু সংগ্রহ করা কিছু তথ্য প্রতিবেদকের মনে উঁকি দেয়। তুর্কমেনিস্তান, মধ্য এশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর উত্তরে কাজাকিস্তান ও উজবেকিস্তান, পূর্বে উজবেকিস্তান ও আফগানিস্তান। দক্ষিণে আফগানিস্তান ও ইরান এবং কাস্পিয়ান সাগর। এই দেশটির হলো ভৌগলিক অবস্থান। এখানকার অধিকাংশ এলাকা সমতল ও বালুময় মরুভুমি। দক্ষিণে ইরানের সাথে সীমান্তে রয়েছে পর্বতমালা।
এর আয়তন প্রায় ৪ লক্ষ ৮৮ বর্গ কিলোমিটার বা ১৮৮ বর্গমাইল। সহজ অর্থে বলা যায়, বাংলাদেশের প্রায় চারগুন। সবশেষ ২০০৬ সালে হিসেব অনুযায়ী দেশটি জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি এগার লাখের কিছু বেশি।
পুর্বে দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিলো। তখন এর নাম ছিলো তুর্কমেন সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। আর ১৯৯২ সালে দেশটিতে চালু হয় নতুন সংবিধান।
রাজধানী আশগাবাদ ও দেশটির অন্যতম বৃহত্তম শহর। অধিকাংশ ইমারত মার্বেল পাথরের তৈরি হওয়ায় একে বলা হয় “দ্য সিটি অব মার্বেল”। তুর্কমেনিস্তানের সরকারি ভাষা তুর্কমেন ও রুশ। প্রায় ৮০% জনগণ তুর্কমেন ভাষাতে কথা বলে। রুশ ভাষাতে কথা বলে প্রায় ৮% মানুষ। এছাড়া এখানে প্রচলিত অন্যান্য ভাষার মধ্যে আছে বেলুচি ও উজবেক।
বর্তমানে তুর্কমেনিস্তানে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিদ্যমান। কিন্তু সম্প্রতি দেশটি বহুদলীয় রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যাগ নেয়া হয়েছে। জেনে আমার মতোই অবাক হবেন, তুর্কমেনিস্তান পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে ১৯৯১ সাল থেকে জনগন সরকারের কাছ থেকে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সেবা বিনামূল্যে পাচ্ছে।