দুর্ঘটনায় আহত মানুষকে সেবা এবং পরিবেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বৃটেনের রানীর হাত থেকে পুরস্কার লিনের বাংলাদেশের দুই তরুন রাহাত হোসেন ও সাজিদ ইকবাল। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ গত ২৯ জুন বাকিংহাম প্যালেসে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মোট ৬০ জন তরুনের সাথে বাংলাদেশের কৃতি এই ২ তরুনকে এই পুরস্কার দেন। যার নাম কুইন্স ইয়াং লিডারস এওয়ার্ডস।
২০১৪ সালে জেনিফার ফেরেল নামের একজন মার্কিন তরুণীর সঙ্গে রাহাত শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ক্রিটিকালিংকের কাজ। দুর্ঘটনায় আহত মানুষকে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় তাঁর প্রতিষ্ঠান। তাঁদের এই কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন প্রায় এক হাজার তরুণ। তাদের এই উদ্যোগ শুধু বাংলাদেশ নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই প্রশংসিত হয়েছে।
সাজিদ ইকবাল চেঞ্জ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন ২০১২ সালে। পরিবেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার সাজিদের কাজের মূল লক্ষ্য। তাঁর প্রতিষ্ঠান সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে ‘বোতলবাতি’ নামের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে। দিনের বেলায় বস্তির অন্ধকার ঘরে সূর্যের আলো ব্যবহার করে তৈরি হতো এই বোতলবাতি। যা পরে গ্রামেও ছড়িয়ে পরে। মোমবাতির বদলে এখন হাজারো ঘরে ব্যবহার হয় এই বোতলবাতি।
২০১৫ সাল থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের তরুণদের জন্য রানির এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। গত বছর বাংলাদেশ থেকে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ওসামা বিন নূর। এ বছর বিজয়ীরা রানির হাত থেকে পদকপ্রাপ্তি ছাড়াও পুরস্কারের আওতায় ২০-২৯ জুন নানা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের প্রশিক্ষণ, বিবিসির প্রধান কার্যালয়সহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থার কার্যালয় পরিদর্শন ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের সাথে দেখা করার সুযোগ।