কাস্টমসের নতুন নীতিমালা জানেন কি? জেনে নিন , প্রবাসীরা বিনা শুল্কে কতটুকু ব্যাগেজ আনতে পারবেন। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে বিনাশুল্কে সর্বোচ্চ ৬৫ কেজি পরিমান ব্যাগেজ আনা যাবে। তবে একটি আইটেম ১৫ কেজির বেশি হতে পারবে না।
নতুন বিধিমালাতে ‘যাত্রী’ বলতে পর্যটক নয় বিদেশ থেকে আসা এমন যাত্রীকে বুঝানো হয়েছে।
আর ‘ব্যাগেজ’ বলতে কোনো যাত্রীর আমদানিকৃত বৈধ খাদ্যদ্রব্য, পরিধেয়, গৃহস্থালি বা অন্যান্য ব্যক্তিগত সামগ্রী বুঝানো হয়েছে। যার প্রত্যেকটি আইটেম ১৫ কেজির বেশি হবে না।
বিধিমালাতে বলা হয়েছে- আকাশ এবং জলপথে আসা ১২ বছর বা তার বেশি বয়সের যাত্রীর সঙ্গে আনা পণ্যের ওজন যদি ৬৫ কেজির বেশি না হয় তবে সেই ব্যাগেজ শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়াই খালাসযোগ্য।
আবার কোনো ব্যাগেজের অতিরিক্ত ৩৫ কেজি পর্যন্ত ওজনের পরিধেয় বস্তু, ব্যক্তিগত ব্যবহারের সামগ্রী, বই, সাময়িকী এবং পড়াশোনার সামগ্রী শুল্ক ও কর ছাড়াই আনা যাবে।
সেইসঙ্গে একজন যাত্রী তার পেশাগত কাজে ব্যবহারের জন্য সহজে বহনযোগ্য সকল প্রকার যন্ত্রপাতি শুল্ক ও কর ছাড়াই আমদানি করতে পারবে।
এদিকে ১২ বছরের কম বয়সী যাত্রীর ক্ষেত্রে ৪০ কেজি পর্যন্ত ওজনের কার্টুন, ব্যাগ বা বস্তায় আনা ব্যক্তিগত ব্যাগেজের জন্য শুল্ক ও কর দিতে হবে না। তবে এই ক্যাটাগরির যাত্রীরা এছাড়া অন্য কোনো সুবিধা পাবে না।
স্বর্ণালঙ্কার বিষয়ে নতুন এই বিধিমালায় বলা আছে, একজন যাত্রী ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালঙ্কার অথবা ২০০ গ্রাম পর্যন্ত রৌপ্যালঙ্কার শুল্ক ও কর ছাড়াই আনতে পারবে। তবে একই প্রকার অলঙ্কার ১২টির বেশি আনা যাবে না।
বিধিমালাতে আরো বলা হয়েছে, স্থলপথে আসা একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ৪০০ মার্কিন ডলার মূল্যমানের ব্যাগেজ শুল্ক ও কর পরিশোধ ছাড়াই আমদানি করতে পারবে।
আকাশ, স্থল বা জলপথে আসা একজন অসুস্থ, পঙ্গু বা বৃদ্ধ যাত্রীর ব্যবহারের জন্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতি বা হুইলচেয়ার আনার জন্য শুল্ক ও কর দিতে হবে না।
ভোগান্তি এড়ানোর জন্য নিয়মকানুন জানুন। অন্য প্রবাসীদের শেয়ার করে জানান।